কুলাউড়া উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ও সিলেট বিভাগের অন্যান্য উপজেলাসমূহ। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। কুলাউড়া উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, ঢাকার ভাষার অনেকটা সামঞ্জস্য রয়েছে। মনু ও ফানাই নদীর গতিপ্রকৃতিএবং চা বাগান বেষ্টিত কুলাউড়া মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ উপজেলায় খাসিয়া, মনিপুরী, গারো, দেববর্মসহ প্রায় সতেরটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। তাদের স্ব-স্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে।
এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে কুলাউড়ার সভ্যতা বহুপ্রাচীন। ঐতিহাসিক নবাব বাড়ী ও কুলাউড়া ডাক বাংলো মাঠের পাশে ঘরটি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ও প্রাচীন সভ্যতার বাহক হিসেবে দেদীপ্যমান। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে কুলাউড়ার অবদান অনস্বীকার্য।
যেসব সরকারী সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা কুলাউড়ায় কাজ করছে সেগুলো হলোঃ
* উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, কুলাউড়া
* সরকারী গণ গ্রন্থাগার, কুলাউড়া
* উপজেলা শিশু একাডেমি, কুলাউড়া শাখা
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS