এ বিদ্যালয়ে সাধারণ ও ভোকেশনাল শাখায় শিক্ষাদান প্রক্রিয়া অব্যাহত রহেছে। সাধারণ শাখায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনী পর্যমত্ম শিক্ষাদান করা হয়। নবম শ্রেনীতে উত্তীর্ন হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা প্রথম সাধারণ শাখায় ও ভোকেশনাল শাখায় বিভক্ত হয়ে মাধ্যমিক সত্মরে অবগাহন করে।নবম শ্রেনীতে সাধারন শাখায় ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করতে পারে।সাথে সাথে ভোকেশনাল শাখায়- জেনারেল মেকানিক্স, বিন্ডিং মেইনটেইনেন্স ও জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস বিভাগে ভর্তি হয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ রহেছে। জে.এস.সি, সাধারন এস.এস.সি ও কারিগরি বা ভোকেশনাল শাখায় এস.এস.সি পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতঃ শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক সত্মর অত্র বিদ্যালয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার প্রানকেন্দ্রে নবীন চন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। অত্র উপজেলার গুটিকতক শতবর্ষীয় বিদ্যাপীঠের মধ্যে নবীন চন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সার্বিক দিক থেকে শীর্ষ স্থানীয়। এই বিদ্যায়তনের সঠিক ইতিহাস বের করা একটু দূরহ বটে। কেননা বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির আমত্মরিক প্রচেষ্টায় এ বিদ্যাপীট আজ যশস্বী লাভ করেছে। ১৮৯২ সালের কোন এক সময় মূল স্কুল চৌমোহনার অনতিদূরে পূর্বপার্শ্বে কুলাউড়া এম( গবফরঁস) ই (ঊহমষরংয) স্কুল নাম ধারণ করে সর্ব প্রথম আত্মপ্রকাশ করে জনৈক নাম না জানা শিক্ষাদরদীর ঐকামিত্মক চেষ্টায়। ঐ সময় কে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তা জানা যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটি উক্ত নামে ১৯০৮ সন পর্যমত্ম বিদ্যালয়ের সমসত্ম কার্যক্রম চালু ছিল বলে জানা যায়।১৯০৯ সনের ১লা জানুয়ারি থেকে কুলাউড়া এইডেড জুনিয়র স্কুল হিসেবে নামকরণ হয় এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বর্গীয় শ্রী সত্যেন্দ্র দত্ত সেন দায়িত্বভার গ্রহন করেণ। তিনি দক্ষতার সহিত ৩১ শে ডিসেম্বর ১৯২৭ইং পর্যমত্ম দায়িত্ব পালন করেন। এখানে উলেস্নখ্য ১৯০৯ ইং থেকে ১৯২৭ সনের ডিসেম্বর পর্যমত্ম বিদ্যালয়টি কুলাউড়া এইডেড জুনিয়র বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত ছিল। অত্র বিদ্যালয়ের অনতিদূরে করের গাঁও নিবাসী স্বর্গীয় শ্রীযুক্ত নবীন চন্দ্র করের সমত্মানদের অর্থায়নে ০৫ টি(পাঁচ) অর্ধপাকা টিনশেড স্থাপনা বিনির্মানের সুবাদে বিদ্যালয়টি নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় নামকরন হয়। ১লা জানুয়ারি ১৯২৮ সনে উক্ত বিদ্যালয় নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে আভির্ভাব হয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম বারের মত এস.এস.সি পরীক্ষায় উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে। কালক্রমে ১৯৬১ সালে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কৃষি বিভাগ উন্মোচনকরতঃ বহুমূখী বা গঁষঃরষধঃবৎধষ উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি পায়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অধ্যবধি অনেক জ্ঞানী গুনী উপহার দিয়ে এ বিদ্যাপীট শুধু মাত্র কুলাউড়া উপজেলায় নয় মৌলভীবাজার জেলা তথা সমগ্র বাংলাদেশ ও আমত্মর্জাতিক অঙ্গনে শিক্ষা বিসত্মারে এক অনন্যসাধারন ভূমিকা রেখে যশস্বী অর্জন করেছে।আধুনিক তথা বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্টান হিসেবে পরিগনিত করার লক্ষে্য গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে উক্ত বিদ্যালকে মডেল স্কুলে রম্নপামত্মর করেছে। প্রত্যাশা ব্যক্ত করা যাচ্ছে যে, অনদিকাল পর্যমত্ম এ বিদ্যালয় ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এর সুনাম অÿুন্ন রাখতে এবং একটি আলোকিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপহার দিয়ে জাতি গঠনে ভূয়শী অর্জন করতে সক্ষম হবে।
শ্রেণী | ছাত্র | ছাত্রী | সর্বমোট | |
৬ ষ্ঠ | ২১২ | ৫৮ | ২৭০ | |
৭ম | ২৫১ | ৭৩ | ৩২৪ | |
৮ম | ১৭৯ | ৫৭ | ২৩৬ | |
৯ম | মানবিক | ১৬ | ১৪ | ৩০ |
বিজ্ঞান | ৫৫ | ১০ | ৬৫ | |
ব্যবসায় শিক্ষা | ১০৭ | ২৪ | ১৩১ | |
১০ম | মানবিক | ১৬ | ৩ | ১৯ |
বিজ্ঞান | ৪০ | ৬ | ৪৬ | |
ব্যবসায় শিক্ষা | ৫৭ | ১২ | ৬৯ | |
৯ম ভোকেশনাল | ৬২ | ৩ | ৬৫ | |
১০ম ভোকেশনাল | ২৬ | ১০ | ৩৬ | |
সর্বমোট | ১০২১ | ২৭০ | ১২৯১ |
ক্রমিক নং | নাম | পদবি | মেয়াদ কাল |
১ | মোঃ আব্দুল জববার | সভাপতি | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
২ | মোঃ মইনুল ইসলাম শামীম | অভিভাবক সদস্য | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
৩ | খন্দকার মুহিবুর রহমান | অভিভাবক সদস্য | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
৪ | ফরহাদ আহমেদ | অভিভাবক সদস্য | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
৫ | কাজী কুহেলী বেগম | সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
৬ | মোঃ মাহবুব করিম মিন্টু | দাতা সদস্য | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
৭ | মোঃ আলতাফ হোসেন | সাধারণ শিক্ষক সদস্য | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
৮ | মোঃ মোবারক হোসেন | সাধারণ শিক্ষক সদস্য | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
৯ | ফেরদৌসী কাওসার চৌধুরী | সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
১০ | মোঃ আমির হোসেন | প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিব | ১৮/০৬/২০১২-১৭.০৬.২০১৪ |
এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলঃ
সন | বিভাগ | পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | প্রাপ্ত জি.পি.এ অনুযায়ী পাশের সংখ্যা | সর্বমোট পাশ | পাশের হার(%) | গড় পাশের হার(%) | |||||||
মোট | ছাত্রী | A+ | A | A- | B | C | D | মোট | ছাত্রী | ||||
২০০৮ | মানবিক | ৩৬ | ১৫ | - | ১ | - | ১০ | ৩ | - | ১৪ | ৫ | ৩৮.৮৯ | ৫৪.১৭ |
বিজ্ঞান | ২৮ | ৭ | ৩ | ৪ | ৬ | ৪ | ২ | - | ১৯ | ৭ | ৬৭.৮৬ | ||
ব্যবসায় শিক্ষা | ৩২ | ১১ | - | ৬ | ৬ | ৪ | ২ | ১ | ১৯ | ৪ | ৫৯.৩৮ | ||
২০০৯ | মানবিক | ৩২ | ১৪ | - | - | ৬ | ১০ | ৮ | - | ২৮ | ১৩ | ৮৭.৫০ | ৯০.২২ |
বিজ্ঞান | ২৯ | ৭ | ১১ | ১১ | ২ | - | - | - | ২৮ | ৭ | ৯৬.৫৫ | ||
ব্যবসায় শিক্ষা | ৩১ | ৮ | ১ | ৫ | ১০ | ৭ | ৪ | - | ২৭ | ৭ | ৯০.২২ | ||
২০১০ | মানবিক | ৩৫ | ২০ | - | ২ | ৩ | ১৪ | ৮ | ১ | ২৮ | ৭ | ৮০ | ৯২.৩৭ |
বিজ্ঞান | ৪৪ | ৭ | ১২ | ২৫ | ৬ | - | - | - | ৪৩ | ১ | ৯৭.৭৩ | ||
ব্যবসায় শিক্ষা | ৩৯ | ৭ | ২ | ১৬ | ১২ | ৫ | ৩ | - | ৩৮ | ১ | ৯৭.৪৪ | ||
২০১১ | মানবিক | ৪৫ | ২৪ | - | ৪ | ১৬ | ১২ | ৭ | - | ৩৯ | ১৩ | ৮৬.৬৭ | ৯২.১৯ |
বিজ্ঞান | ৪১ | ১০ | ৪ | ২৫ | ৮ | ৩ | - | - | ৪০ | ৯ | ৯৭.৫৬ | ||
ব্যবসায় শিক্ষা | ৪২ | ৮ | ১ | ১৯ | ৪ | ৯ | ৬ | - | ৩৯ | ৮ | ৯২.৮৬ | ||
২০১২ | মানবিক | ৩১ | ৩ | - | ২ | ১৪ | ৯ | ৬ | - | ৩১ | ৩ | ১০০ | ৯৯.৩৩ |
বিজ্ঞান | ৫৫ | ৬ | ২২ | ২৪ | ৬ | ৩ | - | - | ৫৫ | ৬ | ১০০ | ||
ব্যবসায় শিক্ষা | ৬৩ | ১২ | ৫ | ২৩ | ১৭ | ১৫ | ২ | - | ৬২ | ১২ | ৯৮ |
জে.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল (জে.এস.সি পরীক্ষা শুরু ২০১০ ইং হইতে)
সন | পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | প্রাপ্ত জি.পি.এ অনুযায়ী পাশের সংখ্যা | সর্বমোট পাশ | পাশের হার(%) | |||||||
ছাত্র | ছাত্রী | A+ | A | A- | B | C | D | ছাত্র | ছাত্রী | ||
২০১০ | ১৬৬ | ৩২ | ১ | ১৭ | ১০ | ১৭ | ৫৩ | ১৭ | ১১৫ | ২৮ | ৬৯.২৮ |
২০১১ | ২২৪ | ৫১ | ১ | ২৫ | ২১ | ২০ | ৮৬ | ৩৫ | ১৮৮ | ৪২ | ৮৩.৯৩ |
অর্জন
দীর্ঘ পথ পরিকল্পনায় এ বিদ্যাপীঠ সৃষ্টি সুখের উলস্নাসে মাতোয়ারা হয়ে উপহার দিয়েছে দেশ বরেন্য অনেক পন্ডিত ব্যক্তিদের এবং আমত্মর্জাতিক ক্ষেত্রে ও কুড়িয়েছে ঈর্ষান্বিত হওয়ার মত সুনাম। পাকিসত্মানের উঅডঘ পত্রিকার সম্পাদক জনাব মোঃ আলতাফ হোসেন, এছাড়া দেশে ও বিদেশে নাম না জানা অনেক প্রোনিতযশা ব্যক্তিত্বের সুতিকাগার এ বিদ্যাপীঠ। বনায়নে অনন্যসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য ২০০৬ ইং সনে এ বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ে ২য় স্থান অধিকার করে। প্রায় প্রতি বছরে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে রেখে আসছে শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর। এ ধারা অব্যহত থাকুক এ প্রত্যাশা অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক মন্ডলী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর।গত ২০১২ সনে এস.এস.সি পরীক্ষায় ৯৯.৩৩% কৃতকার্য ও ২৭ জন জি.পি.এ-অ+ পেয়েছে।আশারাখি ফলাফলের ধারাবাহিকতা অটুট থাকবে অনধিকাল পর্যমত্ম।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
মডেল স্কুলে রপান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে অচিরেই এই বিদ্যাপীঠে উচ্চ মাধ্যমিক অর্থাৎ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী চালু করা হবে। তাছাড়া এলাকার চাহিদা মেটাতে এ বিদ্যালয়ে Double shift খোলার সমূহ সম্ভাবনা রহেছে। বিগত বছর গুলোতে পাবলিক পরীক্ষায় ৯০% ফলাফল অর্জন করেছে। ২০১২ সালে ১৫০ জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৪৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জন A+ পেয়েছে। কোন শিক্ষার্থীকে নির্বাচনী পরীক্ষায় আটক না রেখে ১০০% বা শতভাগ ফলাফল অর্জন করার পরিকল্পনা রহেছে। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে যাতে তর তর করে শুধুমাত্র শীর্ষ স্থান অধিকার করাই নয়, এ বিদ্যালয় ক্রীড়া, সংস্কৃতিক সহ বিভিন্ন গঠনমুলক উপআনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কর্মকান্ডে প্রগতি আনয়নে এলাকাবাসী তথা সুশীল সমাজের আমত্মরিক সহযোগিতা কামনা করছে।
উপজেলা থেকে পদব্রজে, রিক্সায়, বাই সাইকেল কিংবা অন্য যে কোন বাহনে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌছা সম্ভব।
এস.এস.সি পরীক্ষায় ২০১২ ইং A+ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের নামঃ
হুমায়ূন কবির ফাহিম---------------গোল্ডেন
মিফতাহ উদ্দিন জোসেফ-----------গোল্ডেন
মিথুন রায়----------গোল্ডেন
এ.এন.এম সাইফুর রহমান---------গোল্ডেন
মোঃ জাহিদ আলম----------------গোল্ডেন
মুনজীর আনাম মুন----------------গোল্ডেন
মশিউর রহমান মাসুম--------------গোল্ডেন
আব্দুল মুমত্মাকিম তোফিক----------গোল্ডেন
তানভির হোসেন নাহিদ-----------গোল্ডেন
রেহানা জান্নাত মৌরি-------------গোল্ডেন
শারমীন সুলতানা মনি-------------গোল্ডেন
ফাহমিদা আক্তার মহতি-----------গোল্ডেন
হীরক জ্যোতি পাল
মোঃ জিয়াউল কবির জিন্নাহ
রেজওয়ানা সামী
জোবেদা সুলতানা উর্মি
আব্দুল কাহিব জুহিত
জাহাঙ্গির আলম শিমুল
প্রবাল মলিস্নক
শফিউল আলম ফাহাদ
শাহজাহান আহমদ সাজু
তাসনীমুল হাসান চৌধুরী
মেহেদী হাসান
মোঃ আব্দুল মুনিম
মোঃ ইমরুল বাশার
মোঃ কামাল আহমেদ
লোপা বেগম
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস